মুড সুইং: কারণ, লক্ষণ এবং সমাধান

প্রিয় মানুষটির কথাই কথাই মুড সুইং হয়? জেনে নিন প্রতিকার

মুড সুইং হলো আমাদের মেজাজের দ্রুত ও অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন যা আমাদের আবেগের সাথে সর্বদা লুকোচুরি খেলে। আনন্দ থেকে দুঃখ, রাগ থেকে বিরক্তি, উত্তেজনা থেকে হতাশা – এই সকলের মিশ্রণে আমাদের মন যেন এক অজানা দ্বীপে ভেসে বেড়ায়।

 

কিন্তু মুড সুইং কি স্বাভাবিক? চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ, এমনকি হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে কিছুটা মেজাজের ওঠানামা তো স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এই সুইং বারবার ঘটে এবং তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, আর তখনই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। কারণ এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে মনের অজানা কোন অসুস্থতা।

 

এই প্রবন্ধে আমরা মুড সুইং এর জটিল জগতকে উন্মোচন করব। আমরা জানব এর কারণ, লক্ষণ এবং কীভাবে এর মোকাবেলা করা যায়। তো চলুন এবার আমরা mood swing meaning in bengali সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো জেনে নেই। 

মুড সুইং আসলে কি?

আমাদের মন যেন এক অস্থির দোলায়মান নৌকা, কখন আনন্দের তুফান উঠে, আবার কখন দুঃখের ঢেউয়ে ডুবে যায়। এই দ্রুত পরিবর্তনশীল মেজাজের খেলাকে আমরা বলি মুড সুইং। হঠাৎ করে হাসি থেমে এসে মুখ ঝুঁকে পড়া, কিংবা মুহূর্তের মধ্যে চোখে জল আসা – এসব কি আপনার সাথেও ঘটে? তাহলে চিন্তা নেই, কেননা আপনি একা নন বরং এই মুড সুইং আমাদের সকলেরই জীবনের অংশ।

 

যদিওবা মুড সুইং স্বাভাবিক, তবে কিছু লক্ষণ থাকলে সতর্ক হওয়া উচিত। দীর্ঘস্থায়ী মুড সুইং, কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত রাগ বা দুঃখ, কাজে অমনোযোগিতা, নিদ্রাহীনতা, খাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন – এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত। কারণ এগুলো মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ অথবা বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

কেন আমাদের মুড সুইং হয়?

আমাদের মেজাজ কতই না অদ্ভুত! এক মুহূর্ত আগে যেখানে ছিলাম হাসির ফোটায় ভরা, আরেক মুহূর্তেই মুখ মলিন, মন খারাপ হয়ে যায়। আর এমন ধরনের মুড সুইং এর পেছনে রয়েছে অনেক অজানা কারণ। যে কারণ গুলো নিচের আলোচনায় ধাপে ধাপে তুলে ধরা হলো। যেমন, 

০১) হরমোনের প্রভাব

মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক চক্রের সাথে সাথে হরমোনের তারতম্য মেজাজের ওঠানামার অন্যতম প্রধান কারণ। ঋতুচক্রের বিভিন্ন পর্যায়ে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা পরিবর্তনের ফলে মেজাজের দোলাচল দেখা দেয়। বিশেষ করে পিরিয়ডের আগে ও পরে ‘প্রি-মেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম’ (PMS) এর কারণে বিরক্তি, চটপটে মেজাজ, এমনকি হতাশার মতো লক্ষণ দেখা দেয়।

০২) মানসিক চাপের বোঝা

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনে মানসিক চাপ যেন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। অফিসের কাজের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, অর্থনৈতিক চিন্তা – এসব কিছুই মেজাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে অবসাদ, উদ্বেগ, এমনকি রাগের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।

০৩) ঘুমের অভাব ও পুষ্টির ঘাটতি

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা মেজাজের অস্থিরতার কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, শরীরে পুষ্টির ঘাটতি, বিশেষ করে ভিটামিন B12 ও ফোলেটের ঘাটতিও মেজাজের ওঠানামার কারণ হতে পারে।

০৪) ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও মেজাজের পরিবর্তন দেখা দেয়। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।

০৫) আবহাওয়ার প্রভাব

অনেকের মতে, আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে মেজাজও পরিবর্তিত হয়। যেমন, বৃষ্টির দিন অনেকের মন খারাপ থাকে, আবার রোদ ঝলমলে দিনে মেজাজ ভালো থাকে। তবে, আবহাওয়া ও মেজাজের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক এখনো প্রমাণিত হয়নি।

মুড সুুইং কি শুধু মেয়েদেরই হয় নাকি পুরুষরাও এর শিকার?

‘মেজাজ খারাপ’, ‘হঠাৎ রাগ’, ‘কিছুই ভালো লাগছে না’ – এইসব অভিযোগ শুনলেই মেয়েদের মানসিক অস্থিরতা কথা সবার আগে আসে। কিন্তু সত্যি কি তাই? মেজাজের এই ওঠানামা কি শুধু মেয়েদেরই নাকি পুরুষরাও এর ব্যতিক্রম নয়? এবারের আলোচনায় আমরা এই ধারণার গভীরে যাবো এবং মেজাজের এই খেলায় কে কতটা সক্রিয়, তা জানার চেষ্টা করবো।

 

সাধারণ ধারণা অনুযায়ী, নারীদের মেজাজ পুরুষদের তুলনায় বেশি পরিবর্তনশীল। হরমোনের প্রভাবে ঋতুচক্রের সময় নারীদের মেজাজের ওঠানামা দেখা যায়। তবে শুধুমাত্র হরমোনই নয়, মানসিক চাপ, সামাজিক প্রত্যাশা, পারিবারিক সমস্যা, কর্মক্ষেত্রের চাপ ইত্যাদিও নারীদের মেজাজকে প্রভাবিত করে।

 

অন্যদিকে, পুরুষদের মেজাজকে বেশি স্থিতিশীল মনে করা হয়। তবে, নতুন গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে পুরুষরাও মেজাজের ওঠানামা থেকে মুক্ত নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন, অ্যান্ড্রোজেনের মতো হরমোনের তারতম্য, মানসিক চাপ, জীবনধারা, পারিবারিক সমস্যা ইত্যাদি মেজাজের পরিবর্তনের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

মুড সুইয়ের দিক থেকে কে কতটা সক্রিয়?

এই প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর নেই। কারণ মেজাজের ওঠানামা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। হরমোনের প্রভাব, মানসিক চাপ, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা – এসব বিষয় মেজাজকে প্রভাবিত করে। তবে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ। এর কারণ হতে পারে হরমোনের প্রভাব, সামাজিক প্রত্যাশা এবং লিঙ্গ ভূমিকার পার্থক্য।

কখন মুড সুইং হয়?

মুইড সুইং – মানব জীবনের এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। আজ যা আনন্দের কারণ, কাল তা হতাশার অন্ধকারে ডুবে যেতে পারে। কখনও মন খুশিতে উদ্বেল হয়ে ওঠে, আবার কখনও মনে হয় যেন সবকিছুই ধূসর। এই দ্রুত পরিবর্তনশীল মেজাজের পেছনে আছে কিছু অজানা কারণ, যা আমাদের জীবনকে করে তোলে আরও রহস্যময়। তাই কখন মুড সুইং হয় সে বিষয়টি নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

০১-জৈবিক কারণে মুইড সুইং 

সত্যি বলতে মুড সুইয়ের পেছনে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে আমাদের দেহের জৈবিক কারণ গুলো। হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে মাসিক চক্রের সময় নারীদের মধ্যে, মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন হওয়ার একটি প্রধান কারণ। এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রার ওঠানামা মেজাজের ওঠানামা ডেকে আনে।

 

পুরুষদের মধ্যেও টেস্টোস্টেরনের মাত্রা পরিবর্তনের সাথে সাথে মেজাজের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, রক্তে শর্করার মাত্রার দ্রুত পরিবর্তন, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও মেজাজ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে দেখা দেয়।

০২-অতিরিক্ত মানসিক চাপ আসলে

আধুনিক জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরা অনেকেই ভুলে যাই নিজেদের মনের কথা। অতিরিক্ত কাজের চাপ, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক সমস্যা – এসব যেন আমাদের মানসিক শান্তির চিরশত্রু। দীর্ঘমেয়াদী এই চাপের বোঝা ক্রমশ ভারী হয়ে উঠে, যা আমাদের সবার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

 

মেজাজের ওঠানামা, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ – এসব মানসিক সমস্যার মূলে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে অতিরিক্ত চাপ। এই চাপের কারণে আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়, যা দীর্ঘমেয়াদে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্ম দেয়।

০৩-দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হলে

পর্যাপ্ত ঘুম না দেওয়া মেজাজের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যখন আমরা ঘুম থেকে বঞ্চিত হই, তখন আমাদের মস্তিষ্কের সেরোটোনিন এবং ডোপামিনের মতো নিউরো ট্রান্সমিটারের মাত্রা কমে যায়। এই নিউরো ট্রান্সমিটার গুলো মেজাজ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

আর আমরা যা খাই তাও আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি এবং অস্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মেজাজের দোলাচলের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে, ফল, শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া মেজাজের উন্নতিতে সাহায্য করে।

 

এছাড়াও মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার মেজাজের দোলাচলের একটি প্রধান কারণ। মাদকদ্রব্য মস্তিষ্কের রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে যা মেজাজের দ্রুত পরিবর্তন এবং বিষণ্ণতা, উদ্বেগের মতো লক্ষণ গুলোর দিকে ধাবিত করে।

০৪-অতিরিক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার করলে

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকাও মেজাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নীল আলো, যা ইলেকট্রনিক ডিভাইস থেকে বের হয়, সেটি মস্তিষ্কের মেলাটোনিন নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটায়। আর এই মেলাটোনিন এক ধরণের হরমোন যা ঘুম নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুমের অভাব মেজাজের দোলাচল, বিরক্তি, চিড়চিড়ে ভাব, এমনকি হতাশার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

মুড সুইং এর লক্ষণ

সত্যি বলতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে মুড সুইং ভিন্ন রকমের হয়। তবে এমন কিছু লক্ষণ আছে যে গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন যে, আপনি কিংবা অন্য কেনো ব্যক্তির মুড সুইং হচ্ছে কিনা। আর সেই মুড সুইং এর লক্ষণ গুলো নিচে তুলে ধরা হলো। 

 

  • কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই দ্রুত এবং তীব্র আবেগের পরিবর্তন।
  • সামান্য বিষয়েও অতিরিক্ত রাগান্বিত হওয়া, চিড়চিড়ে ভাব থাকা।
  • অস্থিরতা, মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা, ঘুমের সমস্যা।
  • শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত বোধ করা, কোনো কাজে মনোযোগ না থাকা।
  • অতিরিক্ত খাওয়া বা খাওয়ার প্রতি অনাগ্রহ।
  • বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে দূরে থাকার ইচ্ছা।
  • নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা, মূল্যবোধ হারানো।

 

দেখুন, আমি আবারও বলছি ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে মুইড সুইং এর কারণ গুলো ভিন্ন ভিন্ন হয়। তবে স্বাভাবিক ভাবে আমাদের মুড সুইং হলে যেসব লক্ষণ দেখা যায় সেগুলো উপরে তুলে ধরা হলো।

কিভাবে মুড সুইং এর প্রতিকার করবেন?

যদি আপনার মনে হয় যে, আপনিও মুড সুইং সমস্যায় জর্জরিত তাহলে আপনাকে এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর আপনার সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমি আপনার সাথে বেশ কিছু মুড সুইং এর প্রতিকার তুলে ধরলাম। তো যদি আপনি এই নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে ফলো করতে পারেন, তাহলে আপনি অন্যান্য মানুষের তুলনায় খুব দ্রুত আপনার মুড সুইং সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। 

পর্যাপ্ত ঘুম দিন

মুড সুইং এর খেলায় জিততে হলে, প্রথমেই জরুরি পর্যাপ্ত ঘুম। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টার নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম শরীর ও মনকে রাখে তরতাজা। ঘুমের অভাবে মেজাজ বিগড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই, প্রতিদিন রাতে একই সময়ে ঘুমিয়ে যাবেন এবং সকালে একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করবেন।

সুস্বাদু খাবার খাবেন

শুধু ঘুমই নয়, সুস্বাদু খাবারও মুড সুইংয়র খেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাজা ফল, শাকসবজি, এবং বাদাম – এই সব খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল। যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই, প্রতিদিনের খাবার তালিকায় এই সব খাবার অন্তর্ভুক্ত করবেন।

নিয়মিত ব্যায়াম করুন

শরীর চললে মন ভালো থাকে। তাই, নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন, দৌড়ান, অথবা যোগ ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামক রাসায়নিক নিঃসরণ করে, যা মেজাজ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পানি পান করবেন

পানি শূন্যতা মেজাজের ওঠানামার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের শরীরের 60% এরও বেশি অংশ পানি দ্বারা গঠিত। পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কের কোষ গুলো তে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যার ফলে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। যদিওবা একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন 2.5 থেকে 3 লিটার পানি পান করা উচিত। তবে, আবহাওয়া, শারীরিক পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর নির্ভর করে পানির পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।

নিজের ভালো লাগা কাজ করা

মুড সুইং দুর করতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে কোন কাজ গুলো আপনাকে আনন্দ দেয়। বই পড়া, গান শোনা, প্রকৃতির কোলে হাঁটা, বন্ধুদের সাথে আড্ডা – যা করলে আপনার মন ভালো হয়, সেগুলো নিয়মিত করুন। মনে রাখবেন, শখের কাজ শুধু বিনোদনই নয়, এগুলো মানসিক ভারসাম্য রক্ষার ঔষধও বটে।

আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা

প্রিয় পাঠক, যদি আপনার ‍মুড সুইং হয় তাহলে খুব বেশি চিন্তা করার কোনো দরকার নেই। কারন, এই সমস্যায় শুধুমাত্র আপনি না, বরং আপনার মতো আরো অনেক মানুষ জর্জরিত। তবে যদি আপনার ‍মুড সুইং সমস্যার মাত্রা অতিরিক্ত হারে বেড়ে যায় তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। 

এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদের সবার জানা উচিত। আপনি যদি জানতে চান “ড্রাগ কি?“, তাহলে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। এটি আপনার সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

আর যদি আপনি মুড সুইং সম্পর্কে আরো নতুন কিছু জানতে চান, তাহলে আপনার বিষয়টি নিচে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।