মাদকাসক্তি – এক ভয়ঙ্কর শব্দ, যা শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়, বরং তার পরিবার ও সমাজকেও গ্রাস করে। যারা প্রকৃতপক্ষে মাদকাসক্ত তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। তারা ধাবিত হয় সেইদিকে যেদিকে তাদের জীবনের আলোর চিরতরে নিভে যাবে।
তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির উপায় পথ সবার জন্য উন্মুক্ত। তাই যারা মাদকে আসক্ত, তারা নিজের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিন। কারণ, এই প্রবন্ধে আমরা মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির কিছু উপায় তুলে ধরবো।
মনে রাখবেনঃ মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।
মাদকাসক্ত কারা?
যখন কোনো একজন ব্যক্তির মাদক দ্রব্যের প্রতি তীব্র আসক্তি তৈরি হবে। আর দীর্ঘদিন মাদকদ্রব্য সেবন করার ফলে সেই ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হবে। তখন আমরা সেই ব্যক্তিকে বলবো মাদকে আসক্ত।
আর একজন ব্যক্তির মাদকে আসক্ত হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। যেমন, মানসিক চাপ, ট্রমা, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি। এছাড়াও পরিবারে মাদকদ্রব্য ব্যবহার, বন্ধুদের প্রভাব, সামাজিক পরিবেশের কারণেও অনেকেই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন।
মাদকে আসক্ত ব্যক্তির লক্ষণ :মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
যেসব মানুষ ব্যাপকভাবে মাদকে আসক্ত তাদের শারীরিক, মানসিক ও আচরনগত লক্ষণ দেখা যায়। যার মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব যে একজন ব্যক্তি মাদকে আসক্ত কিনা। যেমন,
মাদকাসক্ত ব্যক্তির শারীরিক লক্ষণ
- চোখ লাল হবে
- চোখের পাতায় ফোলাভাব দেখা যাবে
- মুখ ও ঠোঁট শুষ্ক হবে
- অস্থিরতা বেড়ে যাবে
- শরীরে ঘামের পরিমাণ বৃদ্ধি হবে
- ক্ষুধামান্দ্যার কারণে শরীরের ওজন হ্রাস পাবে
- ঘুমের সমস্যা হবে যেমন, রাতে ঘুম না আসা কিংবা অতিরিক্ত ঘুম
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাবে
মাদকাসক্ত ব্যক্তির মানসিক লক্ষণ
- নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগের অভাব
- নিজের স্মৃতিশক্তি আগের থেকে হ্রাস
- আসক্ত ব্যক্তির উদ্বেগ বেড়ে যাবে
- সর্বদা বিষণ্ণতা অনুভব করবে
- ভুল কথা বলবে
- অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ দেখা যাবে
- মানসিক বিভ্রম তৈরি হবে
মাদকাসক্ত ব্যক্তির আচরণগত লক্ষণ
- মাদকদ্রব্যে সেবনে প্রবল আকাঙ্ক্ষা জন্মাবে
- সর্বদা নিজেকে গোপন রাখতে পছন্দ করবে
- পরিবারের সাথে খারাপ আচরন
- বন্ধুবান্ধবের সাথে সম্পর্কের অবনতি হবে
- পড়াশোনা বা চাকরিতে মনোযোগ দিবেনা
- মিথ্যা বলার অভ্যাস তৈরি হবে
- চুরি করা অথবা আক্রমণাত্মক আচরণ করবে
বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবনে মানুষের ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। তবে অধিকাংশ সময় মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা যায়।
মাদকাসক্তির প্রধান কারণ গুলো কি কি?
মাদকাসক্তি- প্রত্যেকটা মানুষের জন্য এক অভিশাপ। যা কোনো একজন মানুষ অন্ধকারের দিকে কে ধাবিত করে। নিজের মধ্যে থাকা কৌতূহল, আশেপাশের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব, ব্যর্থতা, সহজলভ্যতা – এসব কারণে আজকাল যে কেউ মাদকে আসক্ত হতে পারে।
মাদকের প্রতি কৌতূহল বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের মনে মাদকের প্রতি এক অজানা আগ্রহ জেগে ওঠে। বন্ধুদের সাথে ‘ট্রাই’ করার ইচ্ছা, ‘কিছুক্ষণের জন্য’ নির্দিষ্ট মূহূর্তকে ভুলে থাকার আকাঙ্ক্ষা এসবের ফলে অনেকেই ধীরে ধীরে মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।
তবে একজন ব্যক্তির মাদকে আসক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশের প্রভাবও কম নয়। যারা মাদক সেবন করে তাদের আশেপাশে থাকলে অনেকেই তাদের প্রভাবে মাদকের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী – এদের প্রভাব অনেক ক্ষেত্রেই মাদকাসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়াও হতাশা, ব্যর্থতা – এসব নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণেও অনেকে মাদকের দিকে ধাবিত হয়। জীবনের চাপ থেকে মুক্তি, ভুলে থাকার আশায় অনেকেই মাদকের শরণাপন্ন হয়। আর এমন মানুষের সংখ্যা মোটেও কম নয়।
তবে বর্তমান সময়ে সুলভে মাদকের পাওয়ার বিষয়টিও মাদকাসক্তি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, চারপাশে খুব সহজেই মাদক পাওয়া যায়, যার ফলে অনেকেই এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।
তবে আমাদের জেনে রাখা উচিত যে, মাদকাসক্তি শুধু ব্যক্তির জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং তার পরিবার ও সমাজের জন্যও বিরাট ক্ষতির কারণ। আর অতিরিক্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, তাদের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং তারা সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব?
মাদক আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কাজ নয়। যারা একবার মাদকের নেশায় পড়েছে তারা নিজের ধৈর্য্য, চিকিৎসা ও পরিকল্পনার মাধ্যমে মুক্ত হতে পারবেন। যদিওবা মাদক আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। তবে ব্যর্থ হলে হাল না ছেড়ে চেষ্টা করলেই মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির উপায় কি?
সর্বদা মাথায় রাখবেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা ইচ্ছাকৃত ভাবে মাদকে আসক্ত হয়না। আর মাদকাসক্তি হলো একটি রোগ তাই সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া সম্ভব। তবে আপনারা যারা অতিরিক্ত মাদকে আসক্ত সেইসব ব্যক্তির জন্য উন্নত চিকিৎসা এবং থেরাপির প্রয়োজন হয়।
তবে একজন ব্যক্তির মাদকাসক্ত থেকে মুক্তির জন্য পরিবারের মানুষের সাহায্য ও সমর্থনের প্রয়োজন হবে। তাই মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের নিন্দা করা বা তিরস্কার করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে হলে তাদের সাহায্যের করুন, মাদক থেকে মুক্তির জন্য উৎসাহিত করুন।
০১-জীবনধারা পরিবর্তন করুন
আপনার বাড়ি থেকে সকল মাদকদ্রব্য, সরঞ্জাম এবং মাদকদ্রব্য সরিয়ে ফেলুন। মাদকের সাথে সম্পর্কিত স্মৃতি ধারণ করে বাড়িতে এমন জিনিসপত্র রাখবেন না। মাদকের সাথে সম্পর্কিত বন্ধুদের পরিবর্তন করুন। এমন বন্ধু তৈরি করুন যারা আপনাকে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করবে।
নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন যেমন, আপনি গান শোনা, বই পড়া, খেলাধুলা ইত্যাদি। প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেস্টা করবেন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের কৌশল শেখা শুরু করবেন।
০২-নেশা ত্যাগ করা মানুষের সাথে সম্পর্ক করুন
নিজেকে মাদক থেকে মুক্ত করার জন্য অনুপ্রেরনা দরকার। সেজন্য আপনি এমন সব ব্যক্তিদের সাথে সম্পর্ক রাখুন যারা আপনার মতো মাদক থেকে মুক্তি চায় কিংবা যারা মাদক ছেড়ে দিয়েছে। তাদের কাছে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন এবং পরামর্শ নিতে পারবেন। তাদের গল্প আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে এবং আপনার লড়াই চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
০৩-মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন
মাদকাসক্তি শুধুমাত্র শারীরিক সমস্যা নয়, এটি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে। উদ্বেগ, বিষণ্নতা, PTSD এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডার-এর মতো সমস্যার সাথে মাদকাসক্ত সম্পর্কযুক্ত। তাই মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে শুধুমাত্র শারীরিক চিকিৎসা যথেষ্ট নয়, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নও অপরিহার্য।
কারণ, অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা মাদকাসক্তির মূল কারণ হতে পারে। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নের মাধ্যমে এই সমস্যা গুলো চিহ্নিত করা এবং সমাধান করা সম্ভব।
০৪-চিকিৎসা ও থেরাপি গ্রহন
একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে আপনার মাদকাসক্তির ধরণ, তীব্রতা এবং চিকিৎসার কথা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবেন। ডাক্তার আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করবেন।
তবে একজন ব্যক্তির মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির জন্য বিভিন্ন থেরাপি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে কগনিটিভ-বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) মাদকে আসক্ত ব্যক্তির চিন্তাভাবনা ও আচরণ পরিবর্তনে সাহায্য করে।
০৫-মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য
নেশা একটি জটিল সমস্যা যা শুধুমাত্র শারীরিক ভাবে নয়,বরং মানসিকভাবেও ক্ষতিকর। তাই নেশা ত্যাগ করার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন অভিজ্ঞ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আপনাকে নেশার কারণ, প্রভাব এবং ত্যাগের উপায় সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করবেন।
০৬-পরিকল্পনা করুন
সম্পূর্ণ ভাবে মাদক ত্যাগ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিকল্পনা করতে হবে। নিজের মনের মধ্যে মাদক ত্যাগ করার পূর্ণ সংকল্প থাকতে হবে। এই পরিকল্পনাই আপনাকে মাদক থেকে মুক্তির লক্ষ্য নির্ধারণ ও মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সাহায্য করবে। তাই আপনার পরিকল্পনা গুলো লিখে রাখলে তা মেনে চলা সহজ হবে।
০৭-ধৈর্য্য ও আশা রাখুন
মনে রাখবেন, মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। রাতারাতি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে এমন আশা করা উচিত নয়। ধৈর্য ধরুন, আশাবাদী থাকুন এবং বারবার চেষ্টা করতে থাকুন। হয়তবা প্রথম দিকে আপনি মাদক থেকে মুক্ত হতে ব্যার্থ হবেন যা স্বাভাবিক। তবে একবার ব্যর্থ হলে হতাশ হবেন না বরং আপনাকে বারংবার চেস্টা চালিয়ে যেতে হবে।
০৮-মাদকের ক্ষতি সম্পর্কে জানুন
মাদক শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, যেমন মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, কিডনি, ফুসফুস ইত্যাদিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে মাদক ভেদে ভিন্ন ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়। নিচে কিছু মাদক ও ক্ষতির ধরন দেওয়া আছে।
ইয়াবা সেবনে কি কি ক্ষতি হয়?
- ইয়াবা মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করে
- স্মৃতিশক্তি, চিন্তাশক্তি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমে যাবে
- হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ বৃদ্ধি
- লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়
- কিডনি বিকল হতে পারে
- শ্বাসকষ্টের সমস্যা
- রুষ ও মহিলা উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস
- আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি
- হ্যালুসিনেশন সৃষ্টি
- নিদ্রাহীনতা
NOTE: ইয়াবা সেবনে আসক্ত হলে পারিবারিক ঝগড়া, বিবাদ, বিচ্ছেদ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।। যারা ইয়াবা সেবন করে তারা প্রায়শই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।
গাজা সেবনে কি ক্ষতি হয়?
- শ্বাসকষ্ট, ব্রঙ্কাইটিস, ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি
- হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়
- প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস
- আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি
- সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস
মাত্রাতিরিক্ত গাঁজা সেবনকারী ব্যক্তির পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়ে। তাদের বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই গাঁজা সেবন করা ব্যক্তিরা খুব দ্রুত এই খারাপ পথ ত্যাগ করবেন।
হেরোইন সেবনে কি ক্ষতি হয়?
যারা অতিরিক্ত হেরোইন সেবন করেন তাদের ফুসফুস/হার্টে প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন সেবনে শরীরে বিভিন্ন জটিল রোগ দেখা দেয়, যেমন:
- লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট
- কিডনি কাজ করা বন্ধ করবে
- ক্যান্সার, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ার মতো ফুসফুসের রোগ
- সংক্রমণ হতে পারে যেমন, HIV, Hepatitis B, Hepatitis C ইত্যাদি
- পুরুষত্বহীনতা বা বন্ধ্যাত্ব
- ত্বকের সমস্যা
- ওজন কমে যায়
- শারীরিক দুর্বলতা
যতো বেশিদিন হেরোইন সেবন করবেন আপনার ক্ষতির ধরন ততোই বৃদ্ধি পাবে। এই অন্ধকার পথ থেকে আজ থেকেই নিজেকে মুক্ত করে ফেলুন। অন্যথায় আপনি জীবনের আসল মানে কি সেটাই বুঝবেন না।
মদ পান করলে কি ক্ষতি হয়?
- অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
- মারাত্মক রোগ হতে পারে
- মানসিক ভারসাম্য নষ্ট
- স্মৃতিশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পাবে
- সহিংসতার চিন্তা বৃদ্ধি পাবে
ইনজেকশন মাদকের ক্ষতি কি?
ইনজেকশন মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে HIV, Hepatitis B, Hepatitis C এবং অন্যান্য রক্ত-বাহিত সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেক বেশি। কারণ, একই সিরিঞ্জ বারবার ব্যবহার করা হয়। ইনজেকশন মাদকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রা গ্রহণের ঝুঁকি অনেক বেশি, যা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
আপনার আমার করনীয় কি? মাদকাসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মন্দির, এবং অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে মাদকবিরোধী সভা, সেমিনার, ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে। সেইসাথে আমাদের মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপন, নাটক এবং অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
মনে রাখবেন, মাদক সেবন করা মানুষকে সমাজের বহির্ভূত না করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করাটা উত্তম। আর মাদক পাচার ও বিক্রি রোধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে, যেন আমাদের বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম আর মাদকে আসক্ত না হয়। ধন্যবাদ।