মাদকাসক্তি – এক ধরনে অভিশাপ, যা ব্যক্তি, পরিবার এবং সমাজকে জঘন্য ভাবে গ্রাস করে। এই অন্ধকার থেকে মুক্তি পেতে, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র গুলো আশার আলো হিসেবে কাজ করে। এখানে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা পুনর্বাসন, পুনঃএকত্রীকরণ এবং নতুন করে বাঁচার সুযোগ পায়। আর আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র গুলো মোট ০৩ ধরনের হয়। যেমন,
কেন্দ্রের ধরণঃ
- সরকার কর্তৃক পরিচালিত, সাশ্রয়ী মূল্যের, সকলের জন্য উন্মুক্ত।
- NGO কর্তৃক পরিচালিত, বিভিন্ন ধরণের সেবা প্রদান করে, খরচ তুলনামূলক বেশি।
- ব্যক্তিগত মালিকানাধীন, উন্নত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, খরচ অনেক বেশি।
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি পদ্ধতি
যখন একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি স্বেচ্ছায় পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হতে আগ্রহী হন, তখন তার মুক্তির সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তবে অনেক সময় মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজে ভর্তি হতে না চাইলেও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করতে পারেন।
আবার কিছু ক্ষেত্রে আদালত মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তির নির্দেশ দিতে পারে। এটি তখনই করা হয় যখন মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজে বা অন্যদের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে ওঠে।
লাইসেন্সধারী বে-সরকারি মাদক পরামর্শ ও নিরাময় কেন্দ্র
মাদক নিরাময় কেন্দ্রের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার
বিভাগ ও জেলা ভিত্তিক মাদক নিরাময় কেন্দ্র
ঢাকা বিভাগের বেসরকারী মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের তালিকা
মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তির পূর্বে বিবেচ্য বিষয়
- ভর্তির পূর্বে রোগীকে মাদকমুক্ত জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
- ভর্তি হওয়া ব্যক্তির চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী উপযুক্ত কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।
- কেন্দ্রের নিবন্ধন, অভিজ্ঞতা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, কর্মসূচি, খরচ, ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ খবর নিবেন।
- প্রতিটা নিরাময় কেন্দ্রের খরচ ভিন্ন হতে পারে। তাই খরচের বিষয়টা পরিস্কারভাবে আলোচনা করবেন।
- তবে সম্পূর্ণ কেন্দ্রের উপর নির্ভর না করে বিকল্প চিকিৎসা করা উচিত।
মনে রাখবেন, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ার পূর্বে সকল দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সঠিক পদ্ধতিতে ভর্তি ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব।