ইন্টারনেট এর যুগে আমরা এতটাই আধুনিক হয়ে পড়েছি যে, বর্তমান সময়ে আমরা ইন্টারনেট ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারি না। নিজের কথা শেয়ার করা, প্রিয় মানুষ গুলোর সাথে যোগাযোগ অক্ষুন্ন রাখা, সব ক্ষেত্রেই আমাদের ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে হয়।
তবে এই ইন্টারনেট এবং উন্নত প্রযুক্তি যেভাবে আমাদের জীবনকে আলোকিত করেছে ঠিক একই ভাবে এই ইন্টারনেট আমাদের জন্য খুলে দিয়েছে এক অন্ধকার দরজা। যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেই আপনি চলে যাবেন পর্নোগ্রাফির অন্ধকার দুনিয়াতে।
সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে এই পর্নোগ্রাফির আসক্তি এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে যার সঠিক পরিসংখ্যান দেখলে আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। তবে সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল এই পর্নোগ্রাফির মতো অন্ধকার জগতে পা দিচ্ছে আমাদের সন্তানেরা। যে বয়সে তারা ফুলের মত গড়ে উঠবে, ঠিক সেই বয়সে তারা আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফিতে।
পর্নোগ্রাফি কী?
পর্নোগ্রাফি হল বৃহৎ একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে মূলত যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট প্রকাশ করা হয়। আর সেই কন্টেন্ট গুলো হতে পারে টেক্সট ভিত্তিক, ইমেজ ভিত্তিক অথবা ভিডিও চিত্র। যার মাধ্যমে যৌনতা কিংবা দৈহিক মিলনকে এমন ভাবে প্রকাশ করা হবে, যাতে করে সেই কনটেন্ট গুলোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে তাৎক্ষণিক যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পায়।
যদিওবা এই পর্নোগ্রাফি প্রকাশের অনেক গুলো মাধ্যম রয়েছে, তবে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মধ্যে ভিডিও চিত্রকে পর্নোগ্রাফি প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আর এই পর্নোগ্রাফির সাথে যুক্ত থাকা কন্টেন্ট গুলো সাময়িক সময়ের জন্য মানুষের যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করলেও। যখন একজন মানুষ পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে, তখন সেই ব্যক্তির জীবনে নেমে আসবে এক ভয়াবহ কালো অধ্যায়।
কেন মানুষ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়?
পর্নোগ্রাফি সম্পূর্ণ হারাম একটি কাজ, কিন্তু তারপরেও মানুষ প্রতিনিয়ত আসক্ত হয়ে পড়ছে পর্নোগ্রাফি নামক ভয়ঙ্কর অন্ধকারে। তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে মানুষ কেন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়। আর আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে বিষয়টা আপনাকে একটু বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে।
দেখুন, আমরা মানুষ, তাই যেসব বিষয় গুলো অবৈধ কিংবা নিষিদ্ধ সেই বিষয় গুলোর প্রতি আমাদের একটা কৌতুহল থাকবেই। আর যখন কথা আসে পর্নোগ্রাফির তখন এই কৌতুহল এর মাত্রা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে যে সকল শিশু কিশোরদের উঠতি বয়স হয় ঠিক সেই সময়ে তাদের মনে এই যৌনতা বিষয়ক কৌতূহল টেনে নিয়ে যায় পর্নোগ্রাফি আসক্তির দিকে।
কারণ ছেলে কিংবা মেয়ে কম বয়সী অথবা মাঝ বয়সী আমাদের সবার মধ্যেই যৌনতা নিয়ে এক সুপ্ত আগ্রহ লুকায়িত থাকে। আর এই আগ্রহ থেকে আমরা পা বাড়িয়ে দেই পর্নোগ্রাফিতে। যেখানে শুরুতে আমাদের কৌতূহল কাজ করলেও যখন আমরা নিয়মিত এই পর্নোগ্রাফি দেখি, তখন আমরা নিজের অজান্তেই এই খারাপ কাজে আসক্ত হয়ে পড়ি।
তবে এই আসক্তির পরিমাণ এতটাও ভয়াবহ রূপ নিত না যদি ইন্টারনেট এর অনুপস্থিতি থাকতো। কারণ বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুবই দ্রুত পর্নোগ্রাফির সোর্স গুলোতে এক্সেস করতে পারি। এছাড়াও আমাদের হাতে হাতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিভাইস। যার কারণে আমরা এখন কয়েক মুহুর্তের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন ডেটাকে এক্সেস করতে পারি। আর এই সহজলভ্যতাই মানুষের পর্নোগ্রাফির আসক্তির একমাত্র কারণ।
আপনার সন্তান পর্ণ আসক্ত কিনা কিভাবে বুঝবেন?
আলোচনার শুরুতে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে বর্তমান সময়ে প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় ব্যাপক হারে উঠতি বয়সী তরুণ প্রজন্মের পর্নোগ্রাফির আসক্তির পরিমাণ অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই আপনার সন্তানের প্রতি সু-দৃষ্টি রাখা একান্ত জরুরী একটি বিষয়। কিন্তু আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার আদরের সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হচ্ছে কিনা?
আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা তা আপনি বেশ কিছু লক্ষণ দেখলেই বুঝতে পারবেন। আর যখন আপনি এই লক্ষণ গুলো আপনার সন্তানের মধ্যে দেখবেন, তখন অবশ্যই আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তাই এবার আমি আপনাকে কিছু লক্ষণ বলবো যে গুলোর মাধ্যমে আপনি সনাক্ত করতে পারবেন যে আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়েছে কিনা।
০১-সন্তানের হঠাৎ পরিবর্তন
একজন সন্তানের বাবা-মা হিসেবে আমরা সবাই বুঝি যে আমাদের সন্তানদের ব্যবহার কেমন। তারা কখন কি চায়, তারা কখন কি করে ইত্যাদি। কিন্তু যদি আপনি লক্ষ্য করেন যে আপনার সন্তানের ব্যবহার হঠাৎ করেই পরিবর্তন হয়ে গেছে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই পরিবর্তনের কারণ খোঁজার চেষ্টা করতে হবে।
কেননা যখন কোন উঠতি বয়সী তরুণ বা তরুণী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের ব্যবহারের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় ভাবে অনেক পরিবর্তন আসে। যা দেখলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা।
০২-আধুনিক ডিভাইস যাচাই করা
আধুনিক যুগের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে আমরা সবাই নিজের সন্তানের হাতে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার দেই। তবে এই কাজটি করার পাশাপাশি একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে তাদের হাতে দেওয়া এই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস গুলোকে নজরে রাখাও আমাদের একান্ত দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই তাদের হাতে দেওয়া কম্পিউটার অথবা মোবাইল গুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তারা কোন ধরনের পর্ন সাইটে ভিজিট করছে কিনা তা আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
০৩-অতিরিক্ত রাত জাগা
ঘরে ঘরে মোবাইল অথবা কম্পিউটার আসার পরে প্রতিটা মানুষের রাত জাগার একটা বদ অভ্যাস তৈরি হয়েছে। আর এই বদ অভ্যাসে যদি আপনার সন্তানও আসক্ত হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। গোপনে হোক কিংবা প্রকাশ্যে আপনাকে এ বিষয়টি জানতে হবে যে রাত জেগে আপনার সন্তান মোবাইল অথবা কম্পিউটারে কি করছে। প্রয়োজনে একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে আপনার সন্তানকে রাত জাগতে নিষেধ করতে হবে।
০৪-লুকানোর চেষ্টা
মনে করুনম আপনার সন্তান কম্পিউটার অথবা মোবাইল ব্যবহার করছে। কিন্তু আপনি ঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথে আপনার সন্তান সেটি বন্ধ করছে কিংবা কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে, সে এমন কিছু করছে যা প্রকাশ করা যাবেনা। যদিওবা এই লুকোচুরির পেছনে আরো অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে পর্নোগ্রাফির বিষয়টিও একবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবেনা।
০৫- হঠাৎ রাগান্বিত হওয়া
যদি আপনার কোমল হৃদয়ের সন্তানটি হঠাৎ করেই সাধারন কথাতেও রেগে যায় ও নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তাহলে আপনাকে তার ব্যবহার পরিবর্তনের কারণ খুজতে হবে। কেননা, যখন একজন মানুষ পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তার মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতা বিরাজ করে। আর সেই সময় মানুষের মেজাজ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকেনা।
০৬-শরীর বা চেহারার হঠাৎ পরিবর্তন
স্বাভাবিক ভাবে যখন কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তার মধ্যে হস্তমৈথন করার প্রবনতা বেড়ে যায়। কিন্তুু যখন সে অতিরিক্ত মাত্রায় হস্তমৈথন করে তখন তার শরীরের মধ্যে অনেক পরিবর্তন চলে আসে। যেমন, মুখের চোয়াল ভেঙ্গে যায়, অস্বাভাবিক হারে ব্রণ দেখা যায় এবং শরীরের ওজন অনেক গুন কমে যায়। সেক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার সন্তানের এমন পরিবর্তন দেখেন তাহলে আপনাকে খুজতে হবে যে, আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিনা।
বাচ্চাদের ওপর পর্নোগ্রাফি কী ধরনের প্রভাব ফেলে?
বর্তমান সময়ে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের পাশাপাশি বাচ্চাদেরও পর্নো আসক্তির পরিমান ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তুু এই আসক্তি যে আমার তরুণ প্রজন্মকে একবারে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তা সেই বাচ্চারা কখনও অনুভব করতে পারেনা। আসুন আমরা জেনে নেই, বাচ্চারা যদি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয় তাহলে তার উপর কি কি প্রভাব পড়ে।
০১-যৌনতা সম্পর্কে ভুল ধারনা
বাস্তবিক জীবনের স্বাভাবিক যৌনতার সাথে পর্নোগ্রাফিতে দেখানো যৌনতার খুব একটা মিল খুজে পাওয়া যায়না। কারণ, পর্নোগ্রাফি তে ব্যবহার করা ভিডিও দৃশ্য কিংবা ছবিকে শুধুমাত্র আপনার যৌন উত্তেজনা কে বাড়িয়ে তোলার দিকেই ফোকাস করা হয়। কিন্তুু যখন আমাদের বাচ্চারা এই ধরনের পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তারা স্বাভাবিক যৌনতার বদলে নীল ছবির মতো করে যৌনতার ভুল ধারনা নিয়ে বড় হয়।
০২-নারীদের অশ্রদ্ধাবোধ
নীল ছবি গুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষের যৌনতাকে ফোকাস করে তৈরি করা হয়। যেখানে দেখানো হয় নারীরা শুধু ভোগপন্য, যাদেরকে একজন পুরুষ নিজের ইচ্ছামতো ভোগ করতে পারে। আর যখন বাচ্চারা এই ধরনের দৃশ্য দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন তাদের মধ্যে নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা অনেক গুন কমে যায়।
০৩-বিকৃত যৌনাচার
পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানুষকে আর্কষন করার জন্য বর্তমানে বিকৃত যৌনাচার তৈরির প্রতিযোগীতা চলছে। যেখানে অবাধে দেখানো হচ্ছে কিভাবে তারা নিজের পরিবারের মানুষের সাথে যৌনতায় আবদ্ধ হচ্ছে। আর বাচ্চারা যখন নীল ছবি গুলোতে এই ধরনের দৃশ্য দেখে তখন তাদের মনেও এমন নিকৃষ্ট ধারনা তৈরি হতে থাকে। যদিওবা এটা জঘন্যতম পাপ, কিন্তুু এসব দেখে দেখে অভ্যস্ত হয়ে পড়লে তাদের সঠিক পথে নিয়ে আসাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
০৪-আসক্তি ও নপংসকতা
বাচ্চারা যখন পর্নোগ্রাফি দেখে তখন তাদের মনের মধ্যে এক অজানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়। তারপর তাদের মধ্যে পর্নোগ্রাফির প্রতি ভালো লাগা তৈরি হয়। এভাবে দেখতে দেখতে একটা সময় তারা নিজের অজান্তে আসক্ত হয়ে পড়ে নীল ছবির প্রতি। আর এমন উত্তেজক দৃশ্য দেখার ফলে বাচ্চারা আসক্ত হয়ে পড়ে হস্তমৈথুন এর মতো জঘন্য নেশায়। যার দীর্ঘতা একটা সময় তাদের নপুংসকে পরিণত করে ফেলে।
যে পাঁচটি উপায়ে পর্নোগ্রাফি আসক্ত দূর করতে পারবেন
ধরে নিলাম আপনার সন্তান পর্নোগ্রাফির মতো খারাপ নেশায় আসক্ত। এখন আপনাকে যেভাবেই হোক তাদের এই আসক্তি থেকে মুক্ত করতে হবে। আর সেজন্য আপনাকে বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করতে হবে। তাই নিজের আলোচনায় আমি মোট ৫টি সহজ উপায় বললাম, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার সন্তানের পর্ণ আসক্তি দুর করতে পারবেন।
01-সঠিক যৌন শিক্ষা প্রদান করা
আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে পর্ণ আসক্তি থেকে দুরে রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই তাদের সঠিক যৌন শিক্ষা প্রদান করতে হবে। কারণ, যখন বাচ্চারা যৌনতা সম্পর্কে সঠিক ধারনা পাবে তখন তারা আর কৌতুহল মেটানোর জন্য পর্ন দেখার প্রয়োজন মনে করবে না। এর পাশাপাশি তারা পর্ন আসক্তির কুফল গুলো সম্পর্কেও আগে থেকে জানতে পারবে।
02-খেলাধুলা করার সুযোগ দেওয়া
বর্তমান সময়ে ব্যস্ততম জীবন আর খেলার মাঠের সংকটে বাচ্চারা অধিকাংশ সময় ঘরের মধ্যে বন্দি থাকে। যার কারণে তারা আপনার অনুপস্থিতে ঘরের মধ্যে মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে নীল ছবি দেখার চেষ্টা করে। কিন্তুু আপনি যদি তাদের খেলার ব্যবস্থা করেন, তাহলে তারা খেলাধুলা করা নিয়েই ব্যস্ত থাকবে। এর ফলে তাদের পর্ণ আসক্তির আশংকা অনেকগুন কমে যাবে।
03-বাচ্চাদের নজরে রাখা
একজন অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই আপনার সন্তানদের নজরে রাখতে হবে। তারা কি করছে, তাদের কি কি সমস্যা আছে সবকিছু তাদের কাছ থেকে শুনতে হবে। প্রয়োজনে এই বয়সে তাদের সাথে বন্ধদের মতো আচরন করুন। এর ফলে তারা আপনাকে তাদের সকল সমস্যা গুলো নিশ্চিন্তে বলতে পারবে।
04-কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে বিরত
সন্তান কিংবা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তখনি পর্নোগ্রাফি দেখে, যখন তাদের হাতে মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস থাকে। তো আপনি যদি আপনার সন্তানের এই ধরনের ডিভাইস থেকে দুরে রাখতে পারেন তাহলে আপনার সন্তানদের পর্ন আসক্তির সম্ভাবনা অনেক গুন কমে যাবে।
05-কঠোর কোমল শাসন করুন
যদি আপনি বুঝতে পারেন যে, আপনার সন্তান নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে তাহলে তাদের শাসন করতে পিছপা হবেন না। তবে খেয়াল রাখবেন, শাসন করতে গিয়ে যেন হিতে বিপরীত না হয়। তাই আপনি আপনার সন্তানকে কঠোর কিন্তু কোমল ভাবে শাসন করার চেষ্টা করবেন। যাতে করে তারা আবেগের বশে খারাপ কিছু করে না বসে।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
পর্নোগ্রাফি- হলো মানব জীবনের জন্য অন্ধকার জগত। আর এই জগত ক্রমাগত ভাবে গ্রাস করছে আমাদের উঠতি বয়সী তরুন প্রজন্মকে। তাই কিভাবে আপনি আপনার সন্তানকে এই পর্নোগ্রাফির ভয়াল থাবা থেকে মুক্ত করবেন সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে আজকের আর্টিকেলে। তো আপনি যদি পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে আরো অজানা কোনো বিষয় জানতে চান, তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।